ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর তারাবুনিয়া সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) রফিকুল ইসলাম নিজের চাইনিজ রেস্তোরাঁ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত অফিস করেন না। এতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
সম্প্রতি এলাকাবাসীরা একাট্টা হয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি রফিকুল ইসলাম মাসে ৭-৮ দিন অফিস করেন। তিনি অল্প কিছু্ক্ষণের জন্য অবস্থান করে অফিস বন্ধ করে চলে যান।
এলাকাবাসীদের একজন সমকালকে জানান, রাজাপুর সদরের বাইপাস মোড় এলাকায় ও বাগরী এলাকায় দুটি চায়নিজ রেস্তোরাঁ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম রেস্তোরাঁর ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সেবা নিতে আসা লোকজন মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, তিনি অফিসের কাজে রাজাপুরে আছেন। ওই ক্লিনিকের অপর দুই কর্মচারী হায়দার হোসেন (এইচএ) এবং বিনীতা রানীর (এফডব্লিউএ) কাছে এলাকাবাসী ক্লিনিক খোলার কথা বললে তারা বলেছে, ক্লিনিক খোলার দায়িত্ব তাদের নয়। আমরা ওষুধপত্র ঠিকমতো পাচ্ছি না।’
বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ওই ক্লিনিক সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ হলেও সে টাকা তিনি সঠিকভাবে ব্যবহার করেননি। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক ফরিদ উদ্দিন ও ইউনিয়ন পরিচালক মতিউর রহমান। এসময় রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা বাধে।
অভিযুক্ত সিএইচসিপি রফিকুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গত তিন মাস ধরে আমাকেরাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে কাজ করিয়েছেন। আমি তারাবুনিয়া সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত অফিস করি।’
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’