হবিগঞ্জে ড্যান্ডি নেশায় ঝুঁকছে পথশিশুরা। নিম্নবিত্ত পরিবারের এসব শিশু-কিশোর-কিশোরী জুতায় ব্যবহারের আঠা পলিথিনে ঢুকিয়ে নেশায় আসক্ত হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিকেলে এবং রাতে তাদের বিচরণ দেখা যায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছে তাদের সঠিক কোনো পরিসংখ্যানও নেই। এ বিষয়ে দায়িত্বশীল সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা ড্যান্ডি নেশা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। পরিসংখ্যান তো নেইই। কিশোর অপরাধীদেরও সঠিক কোনো হিসাব তাদের কাছে নেই।
এদিকে বিভিন্ন সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালেও তাদের আটক করা যাচ্ছে না। কিন্তু বিভিন্ন সময় শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব আঠা শিশু, কিশোরদের কাছে বিক্রি না করতে বললেও তা মানা হচ্ছে না।
ড্যান্ডি নেশায় আক্রান্ত শায়েস্তাগঞ্জের এক বাসিন্দা জানায়, জুতার গাম থেকে এ নেশা তারা তৈরি করে। এটি কি খাচ্ছে তারা জানে না। আঠা খাওয়া ভালো নয়। তবে তাদের দেখে মনে নেশা করে তারা শান্তি পায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিফতরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ খালেদুল করিম জানান, শিশু-কিশোরদের ধরা যাবে না। তাদের সচেতন করতে হবে। পুনর্বাসন করতে হবে। জুতা ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রয়োজনে আঠা রাখেন। কিন্তু তারা সেটি আবার এসব শিশু-কিশোরের কাছে বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পথসভা করা হয়। তবে শিশু-কিশোরদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সমাজসেবা অধিদফতরের।
জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান জানান, শিশু-কিশোর অপরাধীদের কোনো ডাটা তারা তৈরি করেননি। পুলিশ যাদের আটক করে শুধু তাদের বিষয়েই তারা পদক্ষেপ নেন।
ড্যান্ডি নেশা কী দিয়ে হয় তা তার জানা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এসব শিশু-কিশোর অপরাধীদের জরিপের মাধ্যমে তালিকা করার দায়িত্ব তাদের দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।