চলছে প্রেম-ভালোবাসার সপ্তাহ। দিন তিনেক পরই ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালোবাসা দিবস। এরই মধ্যে অনেকেই ঠিক করে ফেলেছেন প্রিয়জনকে সেদিন কী উপহার দেবেন। এক গোছা গোলাপ, হীরের আংটি, কিউট টেডি বিয়ার কিংবা সুন্দর টাই সেট বা পারফিউম। কিন্তু অনেকের কাছেই এসব জমকালো উপহারের চেয়ে অন্য একটি উপহার খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর তা হলো, সুখে-দুখে চিরকাল পাশে থাকার অঙ্গীকার।
প্রমিস ডে কবে?
আজ-ই (বৃহস্পতিবার) সেই দিন। ভ্যালেন্টাইন উইক এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারি তথা প্রেমের সপ্তাহের পঞ্চম দিন উদযাপন করা হয় প্রমিস ডে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিপক্ক বা ‘পোড় খাওয়া’ প্রেমিক-প্রেমিকা বা যুগলদের কাছে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রতিশ্রুতি।
তাই নিজেদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে এর চেয়ে ভাল উপহার আর কিইবা হতে পারে! কেননা প্রেম মানেইতো প্রতিশ্রুতি, অঙ্গীকার, বিশ্বাস। এই প্রতিশ্রতিগুলোই সম্পর্ককে সুন্দর করে তোলে।
প্রমিস করতে হবে নিজেকেও!
আবার অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ভালোবাসার অনেক প্রতিশ্রুতি অন্যকে দিলেও আমরা নিজেরাই সেটা ভুলে যাই। তখন জীবন হয়ে উঠে বিষাদময়। তাই জীবনে আনন্দ পেতে হলে সবচেয়ে প্রয়োজন নিজেকেই কিছু প্রতিশ্রুতি দেওয়া, সেই প্রতিশ্রুতি মেনে চলা। তাহলেই বাড়বে আত্মবিশ্বাস। বিশ্বাস বাড়বে অন্যের প্রতিও। সেক্ষেত্রে সম্পর্কও সুন্দর হবে। আজ প্রমিস ডে-তে তাই নিজেকেও কিছু প্রমিস করতে বলছেন তারা।
প্রিয়জনকে যেসব প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনঃ
• তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসবো।
• বিপদের মুখে তোমায় ফেলে চলে যাব না। সুখে-দুখে চিরকাল তোমার পাশে থাকবো।
• যে কোনও মূল্যে তোমাকে সুখ, হাসি, আনন্দে রাখবো।
• সব সময় আমি তোমার প্রতি সৎ এবং বিশ্বস্ত থাকবো।
• আমাদের সম্পর্কের মাঝে কোনও মিথ্যে, ছলচাতুরিকে আশ্রয় দেবো না।
• তোমাকে কখনও কষ্ট দেবো না। দেবো না কোন মানসিক আঘাতও।
মনে রাখতে হবে, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়া যাবে না, যা পালন করা অসম্ভব। সুখে রাখার প্রতিশ্রুতির চেয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ খুব স্বাভাবিকভাবেই কাছের মানুষটি আমৃত্যু একটি প্রতিশ্রুতি চায়, তা হল যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনার সহায়তা। নির্দিষ্ট এই দিনটিতে আপনি এই প্রতিশ্রুতিটি করতে পারেন।
প্রমিস ডে কি শুধু প্রেমিকা-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ?
আধুনিক যুগে প্রমিস ডে শুধু প্রেমিকা-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। অনেকে বন্ধুদের মধ্যেও এই দিবসটি উদযাপন করে থাকেন। অনেকে আবার মজা করে বলছেন, রাজনীতিবিদদের এই দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করা উচিত। কারণ রাজনীতিবিদরা যেখানে নদী নেই, সেখানেও সেতু গড়ার মিথ্যা, আজগুবি প্রতিশ্রুতি করে বসেন! অনেকে আবার বলছেন, শুধু রাজনীতিবিদই কেন! বিচারক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষই দিবসটির গুরুত্ব অনুধাবন করে সে অনুযায়ী কাজ করলে সমাজ তথা রাষ্ট্র আরো উন্নত হবে।