কুষ্টিয়া থেকে অপহরণ করে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়ার পর নিজের বুদ্ধিমত্তায় অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়া আড়ুয়াপাড়া গ্রাম থেকে ওই স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে মুখোশধারী কয়েক দুর্বৃত্ত।
অপহরণের শিকার স্কুলছাত্রের নাম নাসিম (১১)। সে আড়ুয়াপাড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে এবং আড়ুয়াপাড়া স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মনির।
ঘটনার বিবরণে তিনি জানান, বিকেল ৪টার দিকে গ্রামের রাস্তা পার হওয়ার সময় একজন মুখোশধারী ব্যক্তি নাসিমকে মুখে কাপড় চেপে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোতে করে রাজশাহী নিয়ে আসেন। এসময় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে রাত ৯টার দিকে রাজশাহী বোয়ালিয়া থানাধীন শিরোইল বাস টার্মিনালে মাইক্রোটি থামিয়ে মুখোশধারীরা নিচে নামেন। তারা ভেবেছিলেন অপহৃত নাসিম তখনো অবচেতন রয়েছে। তাই মাইক্রোবাসের গেট খোলা অবস্থায় রেখে তারে বাইরে যান। সুযোগ পেয়ে দৌড় দেয় ওই কিশোর।
সে পালিয়ে শিরোইল কলোনির ১৯ নম্বর কাউন্সিলরের চেম্বারের সামনে এসে পড়ে। পরবর্তীতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন ঘটনাটি জানালে পুলিশ গিয়ে তাকে থানা হেফাজতে নেয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিরোইল কলোনির ২ নম্বর গলির বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে স্কুলছাত্র নাসিম দৌড়ে কাউন্সিলর চেম্বারের কাছে আসে। অতপর ঘটনার বিস্তারিত জানায়। আমি বিষয়টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমনকে অবগত করি।’
এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, ‘বিষয়টি ছেলেটির পরিবারকে জানানো হয়। পরে চন্দ্রিমা থানার ওসির সমন্বয়ে বাবা-মার কাছে দুপুর ১২দিকে তাকে তুলে দেয়া হয়।’