1. news@khoborprotikhon.com : খবর প্রতিক্ষণ ডেস্ক : খবর প্রতিক্ষণ ডেস্ক
  2. shourav.kst.bd@gmail.com : জুবায়ের কারিম সৌরভ : জুবায়ের কারিম সৌরভ
হত্যার পর চামড়া ছিলে লবণ লাগিয়ে দেয় স্বামী - খবর প্রতিক্ষণ
সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন

হত্যার পর চামড়া ছিলে লবণ লাগিয়ে দেয় স্বামী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০২১
  • ২১৮ বার দেখা হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক গৃহবধূর চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ঘাতক স্বামী স্কুলশিক্ষক আমিনুল ইসলাম। গত ২৬ ডিসেম্বর শান্তা আক্তার (২২)কে হত্যার নির্মম পাশবিকতা চালায় আমিনুল।

 

 

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ন কবিরের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া আসামির এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

 

 

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি আমিনুল আদালতকে বলেছেন- পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রী শান্তাকে শিলপাটা দিয়ে আঘাত করে মাথা থেঁতলে হত্যা করেছেন তিনি। এরপর মাছ কাটার বঁটি দিয়ে শরীরের কয়েক জায়গায় চামড়া ছিলে তাতে লবণ লাগিয়ে দেন।

 

 

মঙ্গলবার বিকেলে শান্তার মরদেহ উদ্ধারের পর বাবা কলিমউল্লাহ বাদী হয়ে রাতেই মেয়ের ঘাতক আমিনুলকে আসামি করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

 

মামলার এজাহারে জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার বারদি ওরলাপুর এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে বন্দর গার্লস স্কুলের শিক্ষক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে ২০১৭ সালে সোনারগাঁ উপজেলার বারদি এলাকার কলিমউল্লাহ’র মেয়ে শান্তা আক্তারের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর শান্তার অন্যত্র বিয়ে হয়।

 

 

৭ মাস ওই স্বামীর সঙ্গে সংসার করার পর ২০ অক্টোবর আমিনুল ফুসলিয়ে পুনরায় শান্তাকে বিয়ে করেন। এরপর বন্দরের রাজবাড়ি এলাকার সুলতান মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস শুরু করেন তারা। পুনরায় বিয়ের ২ মাস ৬ দিনের মাথায় স্ত্রী শান্তাকে হত্যা করেন আমিনুল ইসলাম।

 

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বন্দর থানার উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক আবদুস সবুর জানান, বুধবার আদালতে হাজির করা হলে আমিনুল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

 

তিনি আরও জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর আমিনুল তার স্ত্রী শান্তাকে হত্যা করে শরীরের চামড়া ছিলে লবণ মেখে লাশ গুম করার জন্য কম্বল মুড়িয়ে তিন দিন ভাড়া বাসায় রেখে দেন। মাছ কেটে যেভাবে হলুদ মরিচ আর মসলা মাখানো হয় ঠিক সেভাবেই স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে লবণ মাখানো হয়। উদ্দেশ্য ছিল মরদেহ যেন পঁচে না যায় কিংবা দুর্গন্ধ না ছড়ায়।

 

 

কিন্তু সময় বেশি অতিবাহিত হওয়ায় লাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে ঘরে সেই মরদেহ রাখা সম্ভব হয়নি। তাই অসুস্থ বলে মৃত স্ত্রীকে কম্বল মুড়িয়ে চলে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

 

 

সেখানে গিয়ে স্ত্রী অসুস্থ বলে নাটক সাজান। কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা লবণ মাখানো নারীর নিথর দেহ দেখেই আঁতকে ওঠেন। লাশের অবস্থা দেখে ধারণা করেন কয়েক দিন আগেই হত্যা করা হয়েছে। লাশ ফেলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে হাসপাতালে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে আমিনুলকে আটক করে।

বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন ইমেইল news@khoborprotikhon.com

বিজ্ঞাপন

এক ক্লিকে শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর ....

বিজ্ঞাপন

Design by Jottil.net © 2020
Language »