দুর্বৃত্তরা কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের হাতসহ তর্জনী ভেঙে দিয়েছিল। আঘাত করা হয়েছিল মাথায় ও মুখে। সংস্কার করে আবার নির্মাণ করা হয়েছে ভেঙে যাওয়া হাত, তর্জনী ও মুখের অংশ।
শুধু তা–ই নয়, সেখানে স্থাপন করা হয়েছে আরও দুটি ভাস্কর্য। ভাস্কর জামাল মাহবুব শামীম বলছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিনটি ভাস্কর্যের পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে।
গত ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার আদলে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হানে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। তাঁদের মধ্যে দুজন মাদ্রাসাছাত্র ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
আজ বুধবার সকাল বেলা ১১টায় পাঁচ রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেখা গেল, ভাস্কর জামাল মাহবুব তিনজন শ্রমিক নিয়ে ভাস্কর্যের শেষ কাজ করছেন। শহরের এই ভাস্কর্যগুলোর কাজ প্রায় শেষের দিকে।
জামাল মাহবুব প্রথম আলোকে জানালেন, ভেঙে যাওয়া হাত ও তর্জনী পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে মুখের অংশও স্থাপন করা হয়েছে। এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে, আজ বিকেলের মধ্যে ভেঙে ফেলে ভাস্কর্যের অংশগুলো পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবে। এ ছাড়া সেখানে স্থাপন করা বাকি দুটি ভাস্কর্যের কাজও ৯৫ ভাগ শেষ হয়ে গেছে। দু–এক দিনের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
জামাল মাহবুব আরও বললেন, ‘বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর দিকে তাকালে দেশপ্রেম জেগে ওঠে। সেই হাত ও তর্জনী ফিরে আসায় মনে আনন্দ জাগছে। এটা পুনরায় স্থাপন করা একটু কঠিন কাজ ছিল। তবুও কম সময়ে করতে পারায় ভালো লাগছে। পাঁচ রাস্তা মোড় এলাকায় ২৪ ঘণ্টাই পুলিশ পাহারা রয়েছে।
কুষ্টিয়া পৌরসভার অর্থায়নে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে তিনটি প্রধান সড়কের দিকে মুখ করে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। নিচের দিকে জাতীয় চার নেতার ম্যুরালও থাকবে। মজমপুর এলাকার দিকে মুখ করা ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্যটির কিছু অংশ ৪ ডিসেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা ভেঙে দেয়। এরপর সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।