ফরিদপুরের মধুখালীতে রাজু সাহা (২২) হত্যার রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ। ঘটনার সঙ্গেজড়িত জসিম মোল্যাকে (২১) আটকের পর রাজুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত ঘটনা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা। তিনি জানান, রাজু সাহাদের নির্মানাধীণ ভবনে কাজ করত অভিযুক্ত জসিম। তারা উভয়েই একটি মেয়েকে ভালোবাসত।
গত শনিবার রাতে একা থাকতে পারবে না জানিয়ে রাজুর বাসায় আসে অভিযুক্ত জসিম। রাতে টয়লেটে গেলে সেখানেই রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয় তাকে। পরে তার মরদেহ টয়লেটের ভেতরে ফেলে ইট-বালু দিয়ে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় সে। গত রোববার ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জসিম স্বীকার করে যে প্রেমিকার দখল নিতেই রাজুকে হত্যা করে।
এদিকে, রাজুর মরদেহ নিয়ে তৈরি হয়েছে আরেক সমস্যা। তার মৃত্যুর পর এক মুসলিম তরুণী দাবি করছেন রাজু তাকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়েছে। সে ঘরে তার একটি মেয়েও রয়েছে।
তবে স্থানীয় এলাকাবাসী, এমনকি রাজুর পরিবারের লোকজনও জানেন না যে, রাজু ধর্মান্তরিত হয়েছে এবং বিয়ে করেছে। উক্ত নারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিয়ের কাবিননামা যাচাইয়ের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যদি বিয়ের কাবিননামা সঠিক হয় তাহলে মরদেহ স্ত্রীর কাছে, অন্যথায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগ পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা হবে ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের হিমঘরে।