রাজবাড়ীতে নারী ঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে ১০০ জুতাপেটা ও পুরুষাঙ্গে ইট বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রোববার কালুখালী উপজেলায় গ্রাম্য সালিশে রাশেদুল শেখ নামের ওই যুবকের ওপরে গ্রম্য সালিশে বর্বর নির্যাতন চালানো হয়।
পরে যুবকের বাবা ইমান আলী শেখ বাদী হয়ে কালুখালী থানায় মামলা করেন। মামলায় রাতেই কালুখালী থানা পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত মো. শহিদুল ইসলাম আলী সাওরাইল ইউপি চেয়ারম্যান।
জানা যায়, রোববার বিকেলে চর পাতুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম আলীর নেতৃত্বে একটি গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশে একটি নারীঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাশেদুলকে প্রকাশ্যে ১০০ জুতাপেটা ও জরিমানা করা হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবকের পুরুষাঙ্গে ইট বেঁধে বিদ্যালয় মাঠ ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ান। এতে ওই যুবকের পুরুষাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হলে গ্রাম্য এক চিকিৎসক দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এর আগেও অনেকে চেয়ারম্যানের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কালুখালী থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে রাশেদুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সাওরাইল ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলীসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।