পুরনো বিরোধের জের ধরে ঝালকাঠির নলছিটিতে আনিস বিশ্বাস রুম্মান (১৮) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। রবিবার (০৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার দপদপিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুম্মান শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর টোল প্লাজায় কর্মরত ছিলেন। সে দপদপিয়া গ্রামের সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, প্রতিবেশী আল মামুন ও রানা হাওলাদারদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল নিহত রুম্মানের পরিবারের। রবিবার রুম্মানের চাচা মুন্না বিশ্বাসের সঙ্গে দপদপিয়া ফেরিঘাট এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে কথার কাটাকাটি হয় আল মামুনের ভাগিনা রিয়াদের।
বিষয়টি রিয়াদ তাঁর স্বজনদের জানালে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিকেল থেকে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় মুন্নাদের বাড়ির আশেপাশে। মুন্নার ভাতিজা রুম্মান রাতে বাড়ির সামনে বের হলে তাকে ধরে নিয়ে যায় আল মামুন, রিয়াদ, বাপ্পি হাওলাদারসহ ১০-১২ জন যুবক। পরে বাড়ির সামনের রাস্তায় রুম্মানকে গলাকেটে ফেলে রেখে যায় তাঁরা। চিৎকার শুনে গুরুতর অবস্থায় রুম্মানকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রুম্মানের চাচাতো ভাই আজিজ বিশ্বাস বলেন, আল মামুনের বাহিনী রুম্মানকে ধরে নিয়ে যায়। আমি ও আমার ভাবি তাদের বাধা দিলেও শোনেনি। পরে টেনেহিঁচড়ে তারা রুম্মানকে বাড়ির সামনের রাস্তায় নিয়ে যায়। আমরাও তাদের পেছনে পেছনে যাই।
বাপ্পি নামের একটি ছেলে আমাদের চোখের সামনেই রুম্মানের গলায় দা দিয়ে আঘাত করে। রুম্মান ও আমাদের চিৎকার শুনে লোকজন এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পরে মৃত্যু হয়। আমরা এর কঠিন শাস্তি চাই। হত্যাকাণ্ডে ১০-১২ জন জড়িত ছিল। আমরা তাদের সবাইকে চিনতে পেরেছি।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।