যশোরের অভয়নগর উপজেলা পরিষদের ভবনের ছাদে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় শিশুর মা শুক্রবার রাতে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ২২ ধারায় শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করতে যশোর আদালতে পাঠানো হয়।
আটক জাহিদুল ইসলাম উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের (এলজিইডি) অফিস সহায়ক (এমএলএসএস)। গত বুধবার বিকেলে ওই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের পাশে বস্তিতে বাবা-মায়ের সাথে থাকে শিশুটি। গত বুধবার বিকেলে শিশুটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে যায়। বিকেল চারটার দিকে জাহিদুল ইসলাম তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে উপজেলা পরিষদের ভবনের ছাদে নিয়ে যান। এরপর তিনি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় শিশুটি চিৎকার করতে থাকে। শিশুটির চিৎকারে লোকজন সেখানে এলে জাহিদুল ইসলাম পালিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিকেলে জাহিদুল ইসলামকে তড়িঘড়ি করে ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুর উপজেলায় বদলি করা হয়। এমনকি ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে রিলিজ (অবমুক্ত) স্লিপ দেয়া হয়।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) যশোর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাসেত বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাকে ফোন করে বলেন, ‘জাহিদুল ইসলামের একটু সমস্যা আছে। বিষয়টি আপনাকে পরে জানাবো।’ জরুরি ভিত্তিতে তিনি জাহিদুলকে অন্যত্র বদলি করতে সুপারিশ করেন। সে অনুযায়ী তাকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী তাকে সমস্যাটি কী আর পরে জানাননি।
এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ইফতেখার আলী বলেন, অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী বৃহস্পতিবার তাকে বলেছেন, জাহিদুল ইসলাম অনেকদিন ধরে অভয়নগরে আছেন। তাকে বদলি করা প্রয়োজন। সেভাবে তাকে বদলি করা হয়েছে। তবে তার বদলির সঙ্গে ধর্ষণচেষ্টার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি অপরাধ করে থাকলে তার শাস্তি হবে।
অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুসেইন খান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। এমন ঘটনা অনভিপ্রেত এবং বিব্রতকর। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে থানার ওসিকে বলা হয়েছে।’