1. news@khoborprotikhon.com : খবর প্রতিক্ষণ ডেস্ক : খবর প্রতিক্ষণ ডেস্ক
  2. shourav.kst.bd@gmail.com : জুবায়ের কারিম সৌরভ : জুবায়ের কারিম সৌরভ
মাত্র ১ টাকায় মুলা,২ টাকায় ফুলকপির কেজি - খবর প্রতিক্ষণ
বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন

মাত্র ১ টাকায় মুলা,২ টাকায় ফুলকপির কেজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ২৩৮ বার দেখা হয়েছে

নীলফামারীতে বিভিন্ন প্রকার সবজী চাষ করে ন্যায্যমুল্য না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষকেরা। ফুলকপি ২ টাকা ও মুলা ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সঠিক দাম না পাওয়ায় উৎপাদিত সবজী বিক্রি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ জেলার কৃষক।

 

আর যেটুকু সবজী স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে, সেটিও আবার কম দাম হওয়ায় লাভের চেয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। সারা জেলার কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার শীত মৌসুমে আঠার শত হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজীর চাষ হয়েছে। যেখানে মোট উৎপাদন হবে পঁচিশ হাজার ছয়শত মেট্রিকটন। উৎপাদিত সবজীর মধ্যে ফুলকপি, বাঁধা কপি, মুলা, লাউ, বেগুন, কাচা মরিচ, গাজর, শিম সহ নানা সবজী।

 

এসব সবজী জেলার স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হতো। পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্যান্য জেলায় সবজী সরবরাহ না হওয়ায় ও দাম কম পাওয়ায় কৃষকেরা সবজী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা দিয়ে উৎপাদিত ফসলের খরচের অর্ধেক মুল্যেও উঠে আসবে না বলে জানান কৃষকেরা।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সাহেব বাজার হাটে গিয়ে দেখা যায়-বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকা কেজি দরে। আর মুলা বিক্রি হচ্ছে ১ টাকা কেজি দরে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা। এসব সবজি বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন।

ব্যবসায়ী মজনু মিয়া, কামাল পাশা বলেন, আমরা যে দরে সবজী বিক্রি করছি, কৃষকেরা তার চেয়েও আমাদের কাছে কম দরে বিক্রি করছেন। এবারে সবজি চাষে কৃষকেরা লোকসান ছাড়া লাভের মুখ দেখতে পারবে না।

 

সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, এবার সবজী চাষ করে মাথায় হাত পড়েছে। আমি চলতি মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা লাগাই সেখানে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা, আর বিক্রি করেছি ৪০ হাজার টাকা। লোকসান গুনতে হয়েছে চার বিঘায় ২০ হাজার টাকা।

 

বীজ, শ্রমিক, সার, কীটনাশক, হাল চাষ এসব ঋণ করে চাষাবাদ করেছি এখন ঋণ কিভাবে পরিশোধ করবো বুঝে উঠতে পারছিনা।

জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে সবজীর ফলন বেড়েছে। যেভাবে ফলন হয়েছে সেভাবে কৃষকেরা দাম পাচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন ইমেইল news@khoborprotikhon.com

বিজ্ঞাপন

এক ক্লিকে শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর ....

বিজ্ঞাপন

Design by Jottil.net © 2020
Language »