রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে জিসান হাবিব (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে রুহুল আমিন (১৭) নামে আরেক স্কুলছাত্র। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আব্দুল্লাহপুরে এই ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালী সোনাইমুড়ি উপজেলার বিহেরগাঁও গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবুল বাশারের ছেলে জিসান। স্থানীয় খলিলুর রহমান ডিগ্রী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ১ম বর্ষে পড়ে সে। ২ ভাই ৩ বোনের মধ্যে ৩য় জিসান। আর রুহুল আমিন ধামরাইয়ের ইসলামপুরে ইকরা মডেল হাই স্কুলের ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাড়ি ধামরাইয়ের পাঠানতলায়।
জিসানের ফুপাতো ভাই মো. ইকবাল হোসেন জানান, গত মাসের ২৭তারিখ নোয়াখালি থেকে নবীনগরে জিসান তার চাচাতো ভাই সৈকতের শ্বশুরবাড়ি আসে। সেখান থেকে তার আরেক আত্মীয় আসমা বেগমের বাসা ধামরাইয়ে। বুধবার রাতে আসমা বেগমের সৌদি যাওয়ার ফ্লাইট ছিলো। এজন্য জিসান ও আসমা বেগমের ছেলে রুহুল আমিন ঢাকা বিমানবন্দর যায় আসমা বেগমকে এগিয়ে দিতে।
আহত রুহুল আমিন জানান, বিমানবন্দর থেকে তারা ২জন আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাসে করে নবীনগর ফিরছিলো। বাসে বসে মোবাইলে গেম খেলছিলো তারা। পথে আব্দুল্লাহপুরে বাসটি থামলে জানলা দিয়ে জিসানের ফোনটি ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী। সঙ্গে সঙ্গে বাস থেকে নেমে জিসান একজনকে ধরে ফেলে। পরে রুহুলও নেমে ছিনতাইকারীকে কিলঘুষি মারতে থাকে। পিছন থেকে আরেক ছিনতাইকারী সদস্য প্রথমে রুহুলকে পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এরপর সে পড়ে গেলে জিসানকেও একাধিক আঘাত করে তার ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে রাতেই জিসানকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আর রুহুলকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।
উত্তরা পশ্চিম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে উত্তরা পশ্চিম থানার উপ পরিদশর্ক (এসআই) মো. শামসুল হক উল্লেখ করেন, জিসানের মুখমন্ডলে ডান পাশে বড় একটি কাটা যখম, বুকের ডান পাশে ২টি কাটা জখম রয়েছে।