পৌষের শুরুতেই বেড়ে চলেছে শীতের তীব্রতা। এত দিন মেঘ আর কুয়াশার সঙ্গে শীতের লুকোচুরি চলছিল। অবশেষে শীত জেঁকে বসছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতকাল শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা দ্রুত কমছে। আর আজ শনিবার থেকে দেশের অধিকাংশ এলাকায় মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহটি শুরু হতে পারে। ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে এর প্রভাব।
পুরো মৌসুমে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, আজ শনিবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। এই শৈত্যপ্রবাহ কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান জানান, শীতের তীব্রতার কারণে এই সময়কে মাঘের মতোই মনে হবে। কুয়াশার প্রাবল্য থাকবে, আছে বৃষ্টিরও সম্ভাবনা। সিনিয়র আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ সপ্তাহ খানেক বিরাজ করবে। রাতের তাপমাত্রা আরো এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে। উত্তরাঞ্চল ছাড়িয়ে পশ্চিমাঞ্চলেও শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার ঘটতে পারে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসে বিস্তীর্ণ এলাকায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করতে পারে।
এদিকে তিন মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখা যায়, ডিসেম্বরের শেষ ও জানুয়ারিতে দুই থেকে তিনটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (ছয় থেকে আট ডিগ্রি) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যার মধ্যে দুটি তীব্র (চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে। এদিকে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও ক্রমশ কমছে।
গতকাল থেকে উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা এক দিনের ব্যবধানে দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে গেছে। তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে কয়েকটি এলাকায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এছাড়া ডিমলাতেও তাপমাত্রা ১০-এর নিচে নেমে গেছে। গতকাল সেখানে ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এদিকে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.১ ডিগ্রি, ময়মনসিংহে ১১ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৭.৪ ডিগ্রি, সিলেটে ১৪.২ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১১ ডিগ্রি, রংপুরে ১০.৯ ডিগ্রি, খুলনায় ১৫.৫ ডিগ্রি এবং বরিশালে ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের। রোগ-বালাইও বাড়ছে। করোনা মহামারি আরো সংকটে ফেলতে পারে।