শীতের কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা পাওয়ার আগে বগুড়ার সব চেয়ে সবজির বড় মহাস্থান হাট ক্রেতা বিক্রেতার পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে। শীতকালীন সব ধরনের হাটে উঠেছে বহুল আলোচিত কন্দ বা মুড়ি কাটা পেঁয়াজ। হাটে বাজারের পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গত ৪/৫ মাস আগে যে পেঁয়াজ মানুষ কিনেছে ২০০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ (পাতাসহ) প্রতিকেজি ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বগুড়ার মহাস্থান হাটের মোকামে। কিন্ত বগুড়ার খুচরা বাজারে কন্দ পেঁয়াজ (পাতা পেঁয়াজ) বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩৫ টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারি কৃষি অফিসার ফরিদ উদ্দিন জানান, জেলায় এবার চার হাজার হাজার ২০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন কন্দ বা মুড়ি কাটা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভাল। জেলায় এবার ৪৭ হাজার ৭৪ মেট্রিকটন বন্দ পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। মুড়িকাটা বা কন্দ পেঁয়াজ এর পর এক সপ্তাহরে মধ্যে চারা পেঁয়াজ রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়বে পেঁয়াজ চাষিরা।
গত মৌসুমে বছর পেঁয়াজ আমদানী না হওয়ায় পেঁয়াজের দাম ওঠে ডাবল সেঞ্চুরিতে। কৃষক পাইকারি ব্যবসায়ীরা অবস্থা বুঝে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে দেয়। দেখা দেয় পেঁয়াজের সংকট।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এবার এক কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের খরচ পড়েছে ১২ টাকা। যারা বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছে তাদের আরো খরচ কম পড়বে।
মুড়িকাটা পেঁয়াজে উঠে গেলে চারা চাষ শুরু হবে। এবার বগুড়ায় ৩৩৩৭ হেক্টর জমিতে চারা পেঁয়াজ রোপণের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে প্রাং ৪০ হাজার মেট্রিকটন।
এ জাতীয় আরো খবর ....