লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে এক গৃহবধূকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মো. মিরাজ (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে। আটক মিরাজ একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার চরহাসান-হোসেন এলাকার স্বামীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূ কিছুদিন আগে চরনেয়ামত এলাকার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রোববার রাত আড়াইটার দিকে মুখোশধারী চার ব্যক্তি দরজা ভেঙে গৃহবধূর বাবার বসতঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা গৃহবধূর বাবা ও মাকে হাত-মুখ বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রেখে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মিরাজ নামে এক ব্যক্তির মুখোশ খুলে গেলে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ তাকে চিনে ফেলেন। ওই সময় মুখোশধারীরা তাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরতর জখম করে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ধর্ষণের শিকার ওই নারীসহ তার বাবা-মাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার সকালে গৃহবধূকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার দুপুরে চরনেয়ামত এলাকা থেকে মিরাজকে আটক করে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারীর পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত মিরাজ সম্পর্কে ওই গৃহবধূর ভাইয়ের মামা শ্বশুর হন। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিরাজদের সঙ্গে গৃহবধূর ভাইদের মামলা-মোকদ্দমা চলছে। ওই বিরোধের জের ধরেই মিরাজের নেতৃত্বে এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গৃহবধূর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মিরাজ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।